মেজর এম এ জলিল | |
---|---|
জন্ম | ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ |
মৃত্যু | ১৯ নভেম্বর ১৯৮৯ (৪৭ বছর) ঢাকা, বাংলাদেশ |
বাসস্থান | বাংলাদেশ ![]() |
পেশা | রাজনীতিবিদ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা |
যে জন্য পরিচিত | মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার |
ধর্ম | ইসলাম |
বরিশাল জেলার, উজিরপুর উপজেলার, ০৮নং শিকারপুর-উজিরপুর ইউনিয়নের ঢাকা-বরিশাল মহা সড়কের, ইচলাদী নামক স্থানে সন্ধ্যা নদীর উপরে বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম.এ জলিল সেতু অবস্থিত। সেতুটি অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন, অতি সুন্দর। ঈদ, কুরবানী, পুজা, বিজয় দিবসের দিন অত্র সেতুটি দেখতে বহু মানুষের সমগম হয়ে থাকে। আশা করি আপনি ও আপনার পরিবার পরিজন নিয়ে আমাদের ইউনিয়নে এসে সেতুটি দেখবেন।
এম এ জলিল (জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯৮৯) বাংলাদেশের একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তা৷ তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ৯নং সেক্টরে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন।
এম এ জলিল বরিশাল জেলার উজিরপুরে ১৯৪২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম মোহাম্মদ আব্দুল জলিল। তবে তিনি মেজর এম এ জলিল নামেই পরিচিত। তাঁর পিতা জোনাব আলী চৌধুরী ও মা রাবেয়া খাতুন। উজিরপুর ডব্লিউবি ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯৫৯ সালে তিনি মেট্রিক পাশ করেন৷ ১৯৬১ সালে পাকিস্তানের মারি ইয়ং ক্যাডেট ইনস্টিটিউশন থেকে আইএ পাস করেন এবং এর পাশাপাশি গ্রহণ করেন সামরিক শিক্ষা৷ ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান একাডেমি থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেন৷ পরে মুলতানে কর্মরত থাকাকালে তিনি ইতিহাসে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন৷
১৯৬২ সালে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে ট্রেনি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন৷ সামরিক বাহিনীতে চাকুরিরত অবস্থায় তিনি বি.এ পাশ করেন৷ ১৯৬৫ সালে তিনি কমিশনপ্রাপ্ত হন এবং ১২নং ট্যাঙ্ক ক্যাভারলি রেজিমেন্ট অফিসার হিসেবে তৎকালীন পাক-ভারত যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন৷ ১৯৭০ সালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন৷ তিনি ১৯৭১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে বরিশালে আসেন এবং মার্চে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন৷ মুক্তিযুদ্ধে তিনি নবম সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব লাভ করেন৷
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের সময়ে তিনি কাজ করেছিলেন। তিনি ছিলেন এ দলেন যুগ্ম আহ্বায়ক৷ ১৯৭৩ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন৷ এছাড়া তিনি ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ ১৯৮৪ সালে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন৷ পরবর্তীতে তিনি জাসদ ত্যাগ করে জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি দল গঠন করেন৷
এ সময় জলিলের পাশে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে চিত্কার করতে থাকে৷ ওদের কেউ কেউ আনন্দে ডিগবাজি খেয়ে ঘাসের ওপর গড়াগড়ি শুরু করে৷ আমাদের এ সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে এভাবে ডিগবাজি খাওয়ার স্বাধীনতা যাঁরা উপহার দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে মেজর এম এ জলিল ছিলেন অন্যতম৷
মৃত্যু :
পাকিস্তানে অবস্থানকালেই ইসলামাবাদে ১৯ নভেম্বর হঠাত্ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন৷ পরে ২২ নভেম্বর তাঁর মৃতদেহ ঢাকায় আনা হয় এবং সামরিক মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়৷ ঝাঁকড়া চুলের টকবগে সেই মুক্তিযুদ্ধের নেতা মিরপুরের বুদ্ধিজীবী/মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস