প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সম্মেলনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ডিজিটাল উদ্যোক্তারা। মঙ্গলবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আতিথিয়তায় তারা দারুণ খুশি।
সারাদেশের সহযাত্রীদের এমন মিলনমেলায় তারা উল্লসিত। এই সম্মেলন যেন প্রতি বছর হয় এখন এই প্রত্যাশা তাদের। মঙ্গলবার এ সম্মেলনে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ১১ হাজারেরও বেশি ডিজিটাল উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছেন।
বরিশাল জেলার, উজিরপুর উপজেলার, শিকারুর-উজিরপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্যোক্তা মো. মুরাদ হোসেন প্লাবন জানান, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আতিথিয়তা পেয়েছি আমরা। এমন সম্মেলন যেন প্রতি বছর হয়।
মুরাদ বলেন, ভাবতেই পারিনি দেশের জন্য আমরা কত বড় কাজ করছি। এ সম্মেলনে এসে নিজেকে সম্মানিত মনে করছি। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমাদের এই সম্মেলন যেন নিয়মিত হয়।
মুরাদ বলেন, আমাদের সকল উদ্যোক্তাদের জন্য আজ নতুন আলো নতুন দিন।
সম্মেলনে ৬৪ টি জেলার জন্য ২৮টি তথ্যবুথ ছিল। এসব বুথে উদ্যোক্তারা তাদের পরিচয়পত্র,খাবার ও সম্মেলনের গাইডলাইন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকেই প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে শুরু করেন উদ্যোক্তারা। সোয়া ১০ টা পর্যন্ত সময়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশের সময় থাকলেও যারা দেরী করে এসেছেন তারাও কোন ভোগান্তি ছাড়াই প্রবেশ করেছেন।
তবে আইডি কার্ড না পেয়ে সম্মেলনে সময়মতো যোগ দিতে পারেনি অনেক উদ্যোক্তা। সহযাত্রীর কেউ কেউ সম্মেলন স্থলে ঢুকেছেন আবার কেউ ঢুকতে পারেননি। কার্ড না পেয়ে অনেকে আসতে পারেনি আবার অনেকে এসে সম্মেলনে এসে দীর্ঘ সময় বাইরেই অপেক্ষায় ছিলেন। তবে সম্মেলনের আয়োজন নিয়েই উৎফুল্ল তারা। মন খারাপ হলেও কোন ক্ষোভ নেই।
আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু আইডি কার্ড হয়তো পৌঁছায়নি। তবে এতে কোন সমস্যা হয়নি। সবাই যেন যোগ দিতে পারেন তার ব্যবস্থাও ছিল। নিজ নিজ জেলার সমন্বয়কের সাথে এসে ১ এবং ৯ নম্বর গেইট থেকে তাদের এন্ট্রি পাস দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষির্কীতে আয়োজন করা হয় এ সম্মেলন। বাংলাদেশে এখন ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন, ৩২১টি পৌরসভা ও ১১ সিটি কর্পোরেশনের ৪০৭টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে।এসব কেন্দ্র থেকে ৬০ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা দেয়া হয়ে থাকে।
সম্মেলনে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের দূত, কূটনীতিক ও ডিজিটাল সেন্টারের অংশীদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। চার বছর আগে চালু হওয়া ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রগুলোকে এখন ডিজিটাল সেন্টার নামে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত লাভ করল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস